Wednesday, November 7, 2012
Monday, November 5, 2012
স্বপ্ন বিলাস
স্বপ্ন বিলাস
- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত
-----------------------------------------স্বপ্ন গুলো এলোমেলো , নীল্ চোখেতে আশা -
চাইছে মন একটুখানি আলতো ভালবাসা ।
দূর স্বপ্নের হাতছানি আর , তোমার চোখের কালো -
বলতে পর, চাঁদের কেন মিষ্টি এত আলো ।
ঘর বাঁধার স্বপ্ন যে মন , চাইছে নাকো আজ -
চইছে মন , পাছি কোথায়, লাল গোধুলি সাঁজ ।
আশা তবু আশা আছে, বুকভরা আশা -
স্বপ্ন জুড়ে এগিয়ে চলা , আর উম্মাদ ভালবাসা ।
ভাবতে ভাবতে বিকেল হলো, সূর্য নামে পাটে -
আসছে আবার সাঁজের বেলা, নীল্ গঙ্গার ঘাটে।
চলো সেথায় যাই চলে যাই, দূর স্বপ্ন কাছে পেতে চাই,
ভাবনাগুলো ভেসে বেড়ায় , তোমার আঁচল ঘিরে -
আবার আমি দেখব স্বপ্ন, ঘরের কোনে ফিরে ।
তোমায় কিছু বলার আছে, স্বপ্নগুলোর কথা -
শুনবে তুমি? বুঝবে তবে নৃসংস সব ব্যথা ।
কাব্য করে লিখছি তা আজ , লাগতে পারে ভালো -
স্বপ্নগুলো রঙিন হলেও, বাস্তবটা কালো ।
নিভৃত সেই আঁধার মাঝে, গুমোট করা হাসি -
সত্যি বলছি , আমি তোমায় আজও ভালবাসি ।।
------------------------------------------------
All rights reserved to Subhankar Sengupta
All rights reserved to Subhankar Sengupta
Sunday, November 4, 2012
অসহায়
অসহায়
-----------------------------------------------
- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত
-----------------------------------------------
বিস্তৃত মাঠ আর ক্ষরতপ্ত মরুভূমি ,
স্বপ্নগুলো মরিচিকার ন্যায় , পথিকের খোঁজে অন্তহীন ।
বৃষ্টিভেজা পায় ,একটু একটু করে সবুজ ঘাসের ছোঁয়া -
শিশির স্তব্দ সকালে, শালিকের কিচির মিচির ।
ধুসর স্মৃতিগুলি আজ বড়ই রঙিন ,
অজাচিতি ঝড়ের মত ,বার বার বিধস্ত করে যাচ্ছে -
সমুদ্র সৈকতের জন বসতিকে ।
সময় বয়ে যায় -
ঝড় স্তব্ধ আকাশের অপেক্ষায় ,
অগুন্তি মানুষের ভিড় -
আর সেই দৃপ্ত মুখ গুলির প্রতিক্ষায় ।
জীবনের কাছে ফিরে আসার -
মৃত্যুর সেই অবিরাম চেষ্টা ,
ভ্রাম্যমান স্পৃহাগুলি ,
আজ চায় হাতছানি দিতে ।
বাষট্টির সেই ব্যর্থ প্রচেষ্টা -
অজও তাড়া করে বেড়ায় ,
আজও সীমান্তের থেকে বহু দুরে দাঁড়িয়ে -
অসহায় সেই মুখ গুলিকে দেখা যায় ।।
-------------------------------------------
All rights reserved to Subhankar Sengupta
Friday, November 2, 2012
জাতবাজি
জাতবাজি
- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত
----------------------------------------
জাতের নামে বজ্জাতি সব ,
জাত জালিয়াত খেলছ জুয়া -
ছুলেই তোদের জাত চলে যায় ,
জাত মামার বাড়ির নয়কো মুয়া ।।
তোমার লেখা তোমার গান ,
ভুলি নি কেও আমরা কবি -
জওয়ান বুড়ো, বাচ্চা খোকা ,
শিশু কিশোর, ছোট্ট নবী ।।
প্রশ্ন তবে উঠছে বল ,
মানছি কোথায় সেসব গান -
গ্রাম বাংলায় আজও আছে -
নক্শিকাথার উপখ্যান ।।
আজও চলে ধর্মের নামে ,
লোক ঠকানো ব্যাবসা বাজি -
ধর্মভীরু মানুষকে তাই -
ঠকাচ্ছে সব পণ্ডিত কাজী ।।
উচ্চ বর্ণ মানুষ গুলো ,
নিজেদের সব ব্রাক্ষণ বলে -
ব্রক্ষ জ্ঞানের হদিস নেই আর -
বামুন বলে বড়াই করে ।।
ওরে পাগল শাস্ত্র পড়িস ,
কোন শাস্ত্রে আছে লেখা -
পৈতে টা গলায় দিলে -
ব্রাক্ষণ হওয়ার গল্প কথা ।।
বিয়ের সময় জাতের হিসাব ,
অ ব্রাক্ষণ তাই অচ্ছুত জাত ?
তুই যে ব্রাক্ষণ, প্রমান কি তার ?
গলায় পৈতের অজুহাত ।।
ছার এইসব জাতবাজি আর ,
ঠকাস নেকো মানুষ জনে ,
করবিই যদি জাতবাজি তো -
সমাজটা ছাড় থাকগে বনে ।।
----------------------------------
All rights reserved to Subhankar Sengupta
Wednesday, October 31, 2012
সরকারী গল্প
সরকারী গল্প
- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত
--------------------------------------------------
পৃথিবী টা অনেক ছোট হয়ে গেছে ।
সপ্নগুলো দুমড়ে মুচড়ে ডাস্টবিন এ পরে রয়েছে -
সংখালঘু সম্প্রদায়ের ন্যায় ।
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে -
আর খবরের কাগজ হাতে ভাবছি -
দেশের অর্থনৈতিক ভাবমূর্তি ফেরাতে,
সরকার আর কি কি ভর্তুকি ভরতে পারে -
নিজের পকেটে ।
ব্যাপারটা খুবই সোজা ,
ভর্তুকির রাশ টানতে টানতে সরকার নাকি-
দেওলিয়া ।
আর তাই সরকার আপনার বাড়ির গ্যাস ,
আপনার গাড়ির পেট্রলের খরচ,
আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন আর বইতে পারছে না ।
তবে শিল্পপতিদের কোটি কোটি টাকার ঋণ-
সরকার বইতে পারে ।
এই দেওলিয়া সরকার খরচ করতে পারে-
লক্ষ লক্ষ টাকা মন্ত্রী আমলাদের সিকিউরিটিতে ।
দিতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা সাহায্য-
প্রতিবেশী দেশকে ।
এমন কি বিদেশী হাসপাতালের খরচ নাকি সরকার চালায়। **(বিস্তারিত ঘটনা সকলের জানা )
এবার বলুনতো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
ইতিমধেই ঘোষণা করেছেন "টাকা নাকি গাছে ধরে না" ।
( হা হা )হাসলেন মাইরি, টাকা গাছে না ধরলেও, গাছের তলায় গজায় ।
এটাই সত্যি।
না হলে কি সুইস ব্যাঙ্ক ভারতীয় আমানত জমা রাখত ?
আর তা না হলে কি ভারতবর্ষে education loan এর সুদ -
personal loan এর চাইতে বেশি হত দাদা ।
একটু ভাবুন দাদা কোথায় আছেন।
আপনি এমন একটি গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক -
যেখানে আপনার ব্যবসার জন্য লোন নিতে -
কমপক্ষে দুটো জুত কিনতে হতে পারে ,
আর জুত তো দুরে থাক ,
দেশে না এসেই ব্যবসার জন্য সব সুযোগ সুবিধা পেতে পারে -
"World Mart" এর মত অনেক বিদেশী সংস্থা ।
ইতিমধেই খবরের কাগজের দৌলতে জানা গেছে -
তথ্যের অধিকার আইনে একজন নাকি জেনেছেন -
জাতিরজনক মহত্মা গান্ধী কে নাকি আর জাতিরজনক বলা যাবে না ।
কারণ, সংবিধান নাকি তার সীকৃতি দেয় না ।
বলুন তো !
তাহলে তো এবার বলা যেতে পারে বাবা কে বাবা
আর মা কে মা বলা যাবে না -
কারণ ,সংবিধানে তো কথাও ওই নাম দুটো লেখা নেই।
আসল কথা টি হলো, স্বাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীন সংবিধান -
থুড়ি, গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক সংবিধান এতটাই গণতান্ত্রিক -
যে মন্ত্রীরা যেকোনো সময় তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে -
সংসদে যে কোনো বিল পাশ করাতে পারে ।
মাননীয় মন্ত্রীগণ আপনাদের কাছে আমার এতটুকু
বিনম্র অনুরোধ, দয়া করিয়া -
ঘরের খাইয়া বনের মোষ তাড়াইতে যাইবেন না ।
দেশর অভ্যন্তরীণ অবস্থা বিবেচনা করুন -
নয়তো এমন সময় আসছে-
যখন হয়ত কিছু না খাইয়াই
বনের মোষেদের সাথে বাস করতে হইতে পারে ।
---------------------------------------
All rights reserved to Subhankar Sengupta
Monday, August 20, 2012
আমি সুভাষ বলছি
আমি সুভাষ বলছি
- শুভঙ্কর সেনগুপ্ত
--------------------------------------------------
তোমার জন্য বলতে পারি হাজারটা কথা ,
বলতে পারো হাজারটা পৃথিবী লিখতে পারি তোমার জন্য ।
তবে এই বলা আর লেখার মাঝে কথাও যেন একটা শূন্যতা ,
ঠিক ওই খোলা আকাশটার মতো নীল শূন্যতা ।
সেই আকাশটাতেও , প্রতিদিন সূর্য ওঠে , সূর্য আস্ত যায় ,
তারারাও হাসে মিট মিট করে ।
তবে চাঁদ ওঠে না আর ।
জোত্স্না আর ভাসে না আমার গায়ে ,
আর দেখতে পাই না সেই সুন্দর সোনালী পৃথিবীটাকে ।
তবু যেন কথাও একটা আশা রয়ে গিয়েছে,
রয়ে গিয়েছে চাঁদ কে ফিরে পাওয়ার অবিরাম চেষ্টা ।
জানিনা চাঁদকে ফিরে পাবে কিনা আমার সেই আকাশ,
তবে এটুকু জানি ,মুরুদ্যানের খোঁজ-
মরুভূমির প্রতিটি বালুকানাকে তপ্ত করে দিয়েছে ,
প্রতি মুহুর্তে উতপ্ত হছে বাতাস ।
আর সেই উতপ্ত বাতাস বয়ে নিয়ে যাছে তোমার সেই উদ্দামকে,
আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে তোমার উত্তাপ ,
আর কদিন এই অগ্নেওগিরি চাপা থাকবে, জানিনা তাও।
তবে যেদিন তোমায় শেষ দেখা গিয়েছিল এলগিন রোডের ঘরটিতে -
উত্তাপের সুরু সেখান থেকেই ।
আর ঠিক সেই সময় থেকে সুরু তোমায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা ।
চেষ্টা আজও শেষ হয়নি, ভবিষ্যতেও চলবে ।
সত্যি কথা বলতে,তুমি ফিরে এলেও চলবে ।
আমাদের এই স্বাধীন ভারতবর্ষে -
স্বাধীনতাটা বড্ড বেশী ।
তাই লোকে স্বাধীন ভাবে ভাবতে চায় ,
স্বাধীন ভাবে খুঁজতে চায় ।
প্রচুর কমিসন তোমায় নিয়ে বসেছে এবং দাঁড়িয়েছে ,
কাজের কাজ কিছুই হয়নি, সুধু হয়েছে তোমায় নিয়ে -
বড় বড় রিপোর্ট , আর পুনরায় খোঁজ করার অনুপ্রেরণা ।
আমরা খুঁজে চলছি, খুঁজে চলব -
আমাদের বিশ্বাস আমরা খুঁজে পাব তোমায়,
আমরা খুঁজে পাব সেই আজাদ হিন্দকে ,
আর তার নায়ককে ।
একদিন তুমি আসবে ,তুমি ফিরবে ,
আর সেই লাল কেল্লায়, সেই তেরাঙ্গার ছায়ায় দাঁড়িয়ে -
তুমি দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করবে -
আমি সুভাষ বলছি -
আমি সুভাষ বলছি -
আমি সুভাষ বলছি ।
-------------------------
All rights reserved to Subhankar Sengupta
Subscribe to:
Posts (Atom)